জাতিসংঘের জেনেভা কার্যালয় ও সুইজারল্যান্ডের অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় নিযুক্ত চীনা স্থায়ী প্রতিনিধি ছেন স্যু গত (মঙ্গলবার) মানবাধিকার পরিষদের ৬০তম অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন এবং বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রশাসন-ব্যবস্থায় চীনের মতাধিষ্ঠান তুলে ধরেছেন।
চীনা প্রতিনিধি বলেন, চলতি বছর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী, বৈশ্বিক প্রশাসন জটিল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। চীনের বৈশ্বিক প্রশাসন প্রস্তাব উত্থাপনের মূল উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা আরো ন্যায়গত ও যুক্তিযুক্ত দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। মানবাধিকার প্রশাসন-ব্যবস্থায় চীন কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করেছে। সার্বভৌমত্বের সমতা অনুসরণ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন-প্রশাসন মেনে চলা। জাতিসংঘের সনদ ও নিয়ম অনুসারে বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিজের মানবাধিকার উন্নয়নের পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সম্মান করা উচিত, মানবাধিকারের অজুহাতে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার হস্তক্ষেপ করার দৃঢ় প্রতিবাদ করা হবে, তাই ফিলিস্তিনিদের জাতীয় বৈধ অধিকার পুনরুদ্ধারে সমর্থন দেয় চীন। বহুপক্ষবাদ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করা উচিত। বিশ্বে সব দেশের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য মানবাধিকার উন্নয়ন পথ থাকে না, তাই সভ্যতার বৈচিত্র্য সম্মান করে সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা জরুরি। যে কোনো একতরফাবাদের আচরণ বিরোধিতা করতে হবে। মানুষকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি। জনগণ বৈশ্বিক প্রশাসনের অংশগ্রহণকারী আর উপভোগকারী। তাই বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
তিনি জোর দিয়ে বলেন,পারস্পরিক সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে সক্রিয়ভাবে বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রশাসন-ব্যবস্থা পুনর্গঠনে অংশ নেবে চীন, যাতে যৌথভাবে বৈশ্বিক মানবাধিকার কর্তব্যের স্বাস্থ্যকর উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা যায়।
সূত্র:সুবর্ণা-হাশিম-রুবি,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।