২০৪ রানের পুঁজি নিয়ে ইংলিশরা বেশ খুশিই ছিল। দেড় দিনে ৩০ উইকেট পড়েছে, কোনো ইনিংসে ১৮০ রানও ওঠেনি। এই উইকেটে ২০৪ কে তো বেশ বড় পুঁজি বলেই মনে হওয়ার কথা!
হেড শুরুটা বেশ রয়েসয়েই করেছিলেন। শুরুর ১৪ বলে রান তুলেছিলেন মোটে ৩। এরপর এক বাউন্ডারি হাঁকাতেই যেন সব বাঁধ খুলে গেল তার। ৩৬ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি, তখনই তার নামের পাশে তিনটি করে ছয় আর চার।
ফিফটির পর আরও বিধ্বংসী রূপে দেখা দিলেন তিনি। পরের ফিফটি পেতে ৩৩ বল খেলতে হলো তাকে। এবার স্টোকসের এক ওভারে নিলেন ১৭ রান, জফরা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসনরাও রেহাই পাননি তার ঝড় থেকে। শেষ দিকে এসে একটু সময় নিয়েছেন, ৬১ বলে ৯২ করা হেড সেঞ্চুরি করতে খেলেছেন ৬৯ বল।
তবে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের পাতায় ঠিকই উঠে গেছেন তিনি। অজিদের হয়ে সবচেয়ে কম বলে সেঞ্চুরির রেকর্ডটা অ্যাডাম গিলক্রিস্টের, এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, এই পার্থ শহরেই! পার্থের পুরোনো মাঠ ওয়াকায় আরও একটা রেকর্ড গড়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার, ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন ঠিক ৬৯ বলেই। নতুন মাঠ অপটাস স্টেডিয়ামে সে রেকর্ডটা ছুঁয়ে ফেললেন হেড।