
বাংলাদেশ নিজেদের ইতিহাসের প্রথম টাই ম্যাচের স্বাদ পেয়েছে। এরপর খেলেছে সুপার ওভারেও। তবে সে সুপার ওভারের অ্যাপ্রোচ বাংলাদেশকে ফেলে দিয়েছে এক গাদা প্রশ্নের মুখে। বাংলাদেশ গত ম্যাচে তাদের সেরা ব্যাটার রিশাদ হোসেনকেই পাঠায়নি ব্যাট করতে।
সুপার ওভারে দারুণ করছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে শেষ বলে ৪ রান হজম করে দিয়ে বসেন ১০ রান। সেটাও অবশ্য অসম্ভব লক্ষ্য নয় নিশ্চয়ই!
তবে বাংলাদেশের কাছে সেটা অসম্ভবই হয়ে গেল! সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান আর নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে ৯ বল খেলে তুলতে পারলেন মোটে ৯ রান।
শান্ত সম্প্রতিই টি-টোয়েন্টি দল থেকে জায়গা হারিয়েছেন। ওদিকে সৌম্য সরকারও এই মাঠে স্পিন খেলতে হাঁসফাঁস করেছেন বেশ।
কিন্তু নরম হয়ে যাওয়া পুরোনো বলেও অবলীলায় স্পিনারদের হিট করতে পারেন, ঘণ্টা দুয়েক আগে এই মাঠেই করে দেখিয়ে গেছেন রিশাদ হোসেন। সুপার ওভার করতে আসা আকিল হোসেইনের শেষ ওভারে একটি করে ছক্কা আর চারে তুলেছিলেন ১৬ রান। সেই রিশাদকেই ব্রাত্য রাখা হলো কেন সুপার ওভারে?
সৌম্য সরকার বলটা ঠেলে দিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টের কোর্টে। তিনি বললেন, ‘কোচেরা, অধিনায়ক প্ল্যান করেছে। সুপার ওভারে ব্যাটারদেরই পাঠানোটা তাদের কল ছিল।’
তবে একটু পর একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে চাইলেন তিনি। বললেন, ‘লেফট আর্ম বোলার বল করছিল, একজন লেফট হ্যান্ড ব্যাটার যাওয়াই ভালো ছিল।’
তাই এটা বলে দেওয়াই যায় যে, সুপার ওভারে মূলত ম্যাচ আপের জন্যই রিশাদকে নামায়নি বাংলাদেশ। সেটা যে কাজে দেয়নি, তার প্রমাণ তো মিলল কিছুক্ষণ আগেই!










