
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ১নং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মানিক দাস এ আদেশ দেন।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পুলিশের উপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান।
এ সময় গুলিতে সজল মোল্লা, রিয়াজুল ফরাজী ও নূর মোহাম্মদ নামের তিনজন নিহত হন। আহত হন শতাধিক ছাত্র-জনতা।
ঘটনার পর মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় তিনটি হত্যা ও একাধিক হত্যাচেষ্টার মামলা হয়। প্রতিটি মামলায় ‘হুকুমের আসামি’ হিসেবে মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রিয়াজুল হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে তোলা হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিনের ছেলে।
মুন্সীগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হালিম হোসেন বলেন, মুন্সীগঞ্জে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর যে হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়, তার মূল আসামি আজকের এ অভিযুক্ত ব্যক্তি। তার পরিকল্পনায় ও নির্দেশে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করার পর একটি মামলায় ইতোমধ্যে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি যে তথ্য দিয়েছেন, তা রাষ্ট্রপক্ষের জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন। রিয়াজুল ফরাজী হত্যা মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সেই ১০ দিনের রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করা হয়। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আপাতত রাষ্ট্রপক্ষ এতে সন্তুষ্ট।
চলতি বছরের ২২ জুন রাজধানীর মনিপুরীপাড়া এলাকা থেকে মোহাম্মদ ফয়সালকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীম হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়।