
ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান (এফ-৭ বিজিআই) বিধ্বস্তসহ গত ৩৪ বছরে ৩২টি দুর্ঘটনা ঘটছে। বিমানবাহিনীর বেশিরভাগ দুর্ঘটনা প্রশিক্ষণ চলাকালেই ঘটেছে। পিটি-৬, ইয়াক-১৩০, এল-৩৯ বা এফ-৭ টাইপ বিমানের ক্ষেত্রে বেশি দেখা গেছে দুর্ঘটনা। তার মধ্যে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ছিল সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। এক দিনেই ৪৪টি বিমান বিধ্বস্ত হয়। গতকাল বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পাইলটসহ ২০ জন মারা গেছেন।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের ৯ মে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ মারা যান। ২০১৮ সালের ২৩ নভেম্বর এফ-৭ বিজি যুদ্ধবিমান টাঙ্গাইলে রকেট ফায়ারিং অনুশীলনের সময় বিধ্বস্ত হলে পাইলট নিহত হন। ওই বছরের ১ জুলাই কে-৮ ডব্লিউ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় দুই পাইলট মারা যান। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে এমআই-১৭ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় কুয়েতি সামরিক কর্মকর্তাসহ পাইলট মারা যান। ২০১৭ সালে ২৬ ডিসেম্বর কক্সবাজারে দুটি ইয়াক-১৩০ বিমান বিধ্বস্ত হয়। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ইয়াক-১৩০ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ২০১৫ সালের ২১ জুলাই মিরসরাইয়ে এফ-৭ যুদ্ধবিমান জরুরি অবতরণ করলে বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৫ সালের ২৯ জুন পতেঙ্গায় এফ-৭ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলে পাইলট মারা যান। একই বছরের ১৩ মে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এ সময় প্রশিক্ষক মারা যান। ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি যশোর রানওয়েতে এল-৩৯ প্রশিক্ষণ বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এ রকম ৩২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।