মিম, সিঁথি থেকে ঋতুরাজ—পূজায় কে কোথায়

মিম, সিঁথি থেকে ঋতুরাজ—পূজায় কে কোথায়

মিমের পূজা তিন জায়গায়
পূজা এলেই বিদ্যা সিনহা মিমের মনটা রাজশাহীতে গ্রামের বাড়ি ছুটে যায়। কিন্তু আপাতত ঢাকাতেই ঘুরছেন মিম। মিম বলেন, ‘দৌড়ের ওপর আছি। বিভিন্ন মণ্ডপে যাচ্ছি। এ সময় মা-বাবা রাজশাহী চলে যান। কাল (বুধবার) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে রাজশাহী যাব। পরে আবার যেতে হবে শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায়। উৎসবমুখর পরিবেশে ঘুরতে ঘুরতেই সময়টা কেটে যাবে। বছরজুড়ে এ সময়ের জন্য অপেক্ষা থাকে।’ মিম জানান, পূজার ছোটাছুটি শেষে সময় কাটাতে দেশের বাইরেও যাবেন।

সিরাজগঞ্জে সিঁথি
গায়িকা সিঁথি সাহার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায়। গ্রামে তাঁদের বাড়িতেই দেড় শ বছর ধরে পূজা হয়। যেখানেই থাকেন, এ সময় গ্রামে যেতেই হবে। সিঁথি জানান, পূজায় কোনো না কোনো দায়িত্বে তিনি থাকেন। এই গায়িকা বলেন, ‘এটা আলাদা একটা আনন্দ। আমাদের বাড়িতেই সবাই আসে পূজা দিতে। সবার সঙ্গে দেখা হয়। নাচ–গানে দারুণ সময় কাটে। আত্মীয়স্বজন, দর্শক আসেন। কখনো খালি গলায় করতে হচ্ছে গান। অনেক গরম, তারপরও সব মিলিয়ে মেয়ে, পাড়া–প্রতিবেশী সবাইকে নিয়ে সময়টা দারুণ উপভোগ করি।’ তিনি জানান, আজ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তাঁর গানের শো রয়েছে। ঢাকায় এসে গান গেয়ে আবার গ্রামে ফিরে যাবেন।

পূজার আনন্দের অপেক্ষা
নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্ত ঢাকাতেই প্রিয়জনদের সঙ্গে পূজার সময় কাটান। এবার ঢাকার বড় মন্দিরগুলো ঘুরে দেখার চেষ্টা করছেন। তিনি জানান, এ সময় পরিবার, আত্মীয়স্বজনকে একসঙ্গে পাওয়া যায়। এ ছাড়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে পছন্দের খাবার, পছন্দের রঙের শাড়ি নিয়েও থাকে আলাদা প্রস্তুতি।

পূজা বলেন, ‘এটা আমাদের বড় উৎসব। বছরজুড়ে অপেক্ষা। এ অপেক্ষাই বেশি আনন্দের। সেই আগের মতো ঘোরাঘুরি করা হয়। সময়টা উপভোগ করতে এখন হাতে কাজও রাখিনি। কিছু টক শো রয়েছে। নাচ থেকে কয়েকটা দিন দূরে থাকব। কাজের ব্যস্ততার মধ্যে অবসর নিয়ে আসে পূজা।’

খুলনাকে মিস করছেন মন্দিরা
শৈশব থেকে সব সময়ই খুলনায় নিজের এলাকায় পূজা করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। তাঁদের বাপ-দাদাদের আয়োজনেই পূজা হয়। বন্ধু, ছোট ভাইবোনদের নিয়ে দারুণ একটি সময় কাটাতেন। খুলনার সেই সময়কে মিস করছেন মন্দিরা। তিনি জানান, ব্যস্ততার কারণে এবারই প্রথম ঢাকাতে পূজা করতে হচ্ছে। ঘুরছেন বিভিন্ন মণ্ডপে। তিনি বলেন, ‘আগে ঢাকা থেকে অনেকে খুলনায় ছুটে যেত। এবার পরিবারের সবাই ঢাকাতে। খাওয়াদাওয়া, আনন্দে দারুণ সময় কাটছে। ফটোশুটের কাজও করতে হচ্ছে। সময় বের করে ঘুরতেও যাচ্ছি, কিন্তু খুলনাকে ভীষণ মিস করছি।’ জানান, নানা সাজে ঘুরতে হবে, এ জন্য তিন–চার মাস আগেই সব পোশাক কিনে রেখেছেন।

বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের বৃত্তি নিয়ে এখন দক্ষিণ কোরিয়ায় আছেন অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক। ‘কোর্স শেষ হতে আরও এক মাস লাগবে। পূজাতে তাই দেশে থাকতে পারছি না। আমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, ভক্ত-অনুসারী সবাইকে খুব মিস করছি,’ গতকাল বলছিলেন অভিনেতা। মণ্ডপে যেতে পারছেন না, গ্রামের বাড়িতে যেতে পারছেন না; সব মিলিয়ে একটু অন্য রকম পূজা কাটছে।

‘সিউলে কিছু মন্দির আছে শুনেছি, বুসানে আছে কি না, জানি না। যদি খোঁজ পাই, তাহলে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। এখানে অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে। এ ছাড়া অনেক বাংলাদেশি পড়াশোনা বা কাজের সূত্রে এখানে আছেন, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাব; আপাতত পূজা নিয়ে এটাই পরিকল্পনা,’ বলছিলেন মনোজ। নিজে থাকতে না পারলেও যাঁরা দেশে আছেন, সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানান অভিনেতা।

নেহার মন খারাপ
দুর্গাপূজায় প্রতিবার এ মণ্ডপ থেকে ও মণ্ডপে ঘুরে বেড়ান নিদ্রা দে নেহা। তবে এবার পরিস্থিতি একটু আলাদা। বাবা অসুস্থ, ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে, তাই মন ভালো নেই।

‘এবার একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। পূজা এসেছে ভালো লাগছে, তবে বাবার কথা মনে হতেই আবার খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে, এটাই হয়তো বাবার সঙ্গে শেষ পূজা। ষষ্ঠীর দিন পুরান ঢাকার মণ্ডপগুলোতে ঘুরে এসেছি, আজ (গতকাল) সকালে একবার মণ্ডপে গিয়েছিলাম; এখন আবার হাসপাতালে ছুটতে হবে। সপ্তমীর দিন বাসাতেই ছিলাম,’ বলেন নেহা।

দুর্গোৎসবে গাইবেন ঋতুরাজ
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে ‘শারদীয় সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৫’ আয়োজন করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এ আয়োজনে গাইবেন ঋতুরাজ বৈদ্য। তিনি জানান, এতে পূজার গান গাইবেন তিনি, পাশাপাশি অন্য গানও থাকবে। প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামীকাল দশমীর দিন সকালে বনানী পূজামণ্ডপে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এর বাইরে একটি গানের রেকর্ডে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঋতুরাজ। গানটি নিয়ে বলেন, ‘প্রায় দুই মাস সময় নিয়ে গানটা করছি। সুর করছেন শাহরিন শাহরিয়ার ভাই। গানটা শিগগিরই মুক্তি পাবে।’

জাতীয়

সারাদেশ

আন্তর্জাতিক

বিনোদন

খেলা

ডাকদূত – বিজ্ঞাপন – সার্কুলেশন শর্তাবলি ও নীতিমালা – গোপনীয়তা নীতি – যোগাযোগ – নিউজলেটার