আগে ময়লা ফেলার ল্যান্ডফিল বা ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করুন, পরে অন্য যেকোন প্রজেক্ট প্লান করুন নয়তো সব সৃষ্টিশীল কাজ ও সরকারি অর্থে তৈরি প্রজেক্ট আবারো ময়লার বাগারে পরিনত হবে।
গ্রীণ এন্ড ক্লিন সোনারগাঁ বিনির্মাণে অবদান রাখতে চাইলে প্রথম কাজ হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। প্রশ্ন হলো, ময়লার ভাগাড়কে যদি পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করা হয় তবে ময়লা কোথায় ফেলবে? এর বিকল্প কোন ব্যাবস্থা কি করা হচ্ছে? যদি বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হয় তাহলে প্রথম ময়লা ফেলার বিকল্প ব্যবস্থা করার দাবী জানাই।
সোনারগাঁয়ের একটি পৌরসভা ও ১০ ইউনিয়নে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় মহাসড়কের পাশে ও নদীর তীরে ফেলা হচ্ছে ময়লা। এদিক দিয়ে সবচে বেশি ভূক্তভোগী সোনারগাঁ পৌরবাসী, মোগরাপাড়া ও পিরোজপুর ইউনিয়নবাসী। মোগরাপাড়া চৌরাস্তার কাঁচা বাজার সহ দুটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার একাংশের ময়লা ফেলা হচ্ছে মারীখালী নদী ও মহাসড়কে। বিকল্প ব্যবস্থা করা না হলে যত্রতত্র ময়লা ফেলা পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং জনদুর্ভোগের কারণ হতে পারে।
তাই সবিনয়ে বলতে চাই, ময়লা ফেলার ল্যান্ডফিল বা ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করুন, পরে অন্য যেকোন প্রজেক্ট নির্মান করুন।
এ ব্যাপারে আমাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন জেলা প্রশাসক যিনি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন এবং আমাদের সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশ্চয়ই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিকল্প করছেন। ময়লা ফেলার ডাম্পিং পেলে সোনারগাঁবাসী আপনারদের নাম আজীবন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
সবশেষে সোনারগাঁয়ের পর্যটন শিল্প বিকাশে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। সারাদেশে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, বিশ্ব সমাদৃত পর্যটন কেন্দ্র ঐতিহাসিক পানাম নগরী, মোগলব্রীজ, শাহী মসজিদ, কুড়িবাড়ি, হযরত শাহ, গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ, পাঁচপীর দরগা, ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাজমহল, পিরামিড সহ সোনারগাঁয়ের অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্রে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ণ, সংস্কারের সবিনয় অনুরোধ রইল।