নুরের শারীরিক অবস্থার সবশেষ তথ্য দিলেন রাশেদ খান

নুরের শারীরিক অবস্থার সবশেষ তথ্য দিলেন রাশেদ খান

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের শর্ট টাইম মেমরি লস (স্বল্প মেয়াদি স্মৃতিশক্তির হ্রাস) হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি জানান, নুর বর্তমানে ছোটখাটো অনেক বিষয় ভুলে যাচ্ছেন।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নুরের শারীরিক অবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি শনিবার সকালে নুরের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি একটু বসার চেষ্টা করছিলেন, তখন কাঁশি আসার সঙ্গে সঙ্গে নাক থেকে রক্ত ঝরছিল। আগে আমরা বলেছিলাম কেবল নাক দিয়ে রক্ত হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। কথা বলার সময় পুরোপুরি শেষ করতে পারছেন না এবং কিছু বিষয় অগোছালোভাবে বলছেন।

রাশেদ খান বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে তিনি আসলে শর্ট টাইম মেমোরি লস করছেন। যেমন— তিনি দুই ঘণ্টা আগে ওষুধ খেয়েছেন কিনা ভুলে যাচ্ছেন। কথার মধ্যেই তিনি অনেকটা ঘুমিয়ে পড়ছেন। পরিবার ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পেয়েছি। এছাড়া তিনি নিজের পায়ের উপর দাঁড়াতে পারছেন না, দেহের ব্যালেন্স নেই। তার চোয়ালের হাড় ভাঙা আছে, নাকেরও ভাঙন রয়েছে, ফলে সর্দির পরিমাণ বেড়ে গেছে।

রাশেদ খান বলেন, সরকার বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আশ্বাস দিলেও বিষয়টি নিয়ে গতি নেই। সরকারের একটি মহল নুরকে বিদেশে নেওয়ার পক্ষে নয়। আমরা চাই, নুরুল হক নুর সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।

তিনি বলেন, শুক্রবার শাহবাগে গণঅধিকার পরিষদের একটি সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দল উপস্থিত ছিল। বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ গণতন্ত্র মঞ্চের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো, ১২ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত দল এবং অন্যান্য ইসলামিক, বাম প্রগতিশীল ও মধ্যপন্থী দল। এ সমাবেশে নুরুল হক নূরের ওপর হামলার বিচারের দাবি জানানো হয়। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের অপরাধের বিচারের দাবিও উঠে।

রাশেদ খান বলেন, শাহবাগে সফল প্রোগ্রাম শেষে আমরা লক্ষ্য করি কার্যালয়ে অনেকে ফিরে গিয়েছে। কে বা কারা জাতীয় পার্টির সামনে গিয়েছে—এ সম্পর্কিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলা হচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ জড়িত। আমরা স্পষ্টভাবে জানাই, গণঅধিকার পরিষদ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করে। আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে ৭ থেকে ৮ মাস আগে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের আহ্বান করেছি। মাসখানেক আগে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আওয়ামী লীগের অপরাধের মতো জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলও একই ধরনের অপরাধ করেছে। তাই তাদেরও নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের আন্দোলন ধারাবাহিক, নতুন নয়।

রাশেদ খান বলেন, শুক্রবার জাতীয় পার্টি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। শাহবাগে যারা সংহতি সমাবেশে ছিলেন, তাদের কেউও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে রাশেদ খান বলেন, জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জিএম কাদের ফ্যাসিবাদের দোসর। তারা গণঅধিকার পরিষদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ দাবি করেছে। আওয়ামী লীগের তেজগাঁও মিছিল দেখলে বোঝা যায় সরকার, প্রশাসন, আর্মি, র্যাব, বিজিবি এবং যৌথ বাহিনী তাদের প্রতিহত করছে না। স্পষ্ট তথ্য আছে যে, জাতীয় পার্টিকে আগামী নির্বাচনে বিরোধী দল বানাতে বাংলাদেশ ও ভারতের এজেন্টরা তৎপর। সরকারের কেউ এ ব্যাপারে নাক গলাতে পারবে না। ২০২৪ সালের নির্বাচনে শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জিএম কাদেরের পোস্টারে লেখা ছিল, ‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত, জাতীয় পার্টি মনোনীত’। তারা ফ্যাসিবাদের অনুগত। বাংলার মাটিতে জাতীয় পার্টি রাজনৈতিকভাবে কার্যকর হবে না এবং নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সরকারের উদ্দেশে রাশেদ খান বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জিএম কাদেরকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।

জাতীয়

সারাদেশ

আন্তর্জাতিক

বিনোদন

খেলা

ডাকদূত – বিজ্ঞাপন – সার্কুলেশন শর্তাবলি ও নীতিমালা – গোপনীয়তা নীতি – যোগাযোগ – নিউজলেটার