ডাকদূত ডেক্স:
দিনশেষে পাখিরা ঘরে ফেরে। সেই ঘর তো গাছ, গাছেরই ডালপালা। তবে সব গাছই পাখির ঘর হয় না। যেখানে নিরাপদ আশ্রয় আছে, মানুষের সঙ্গ, মমতা-ভালোবাসা আছে, পাখিরা সেরকম স্থান, গাছপালাকেই ঘর করে নেয়। সেখানে রাত কাটায়, বাসা বোনে।
এ রকমই বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্ত্বরের অসংখ্য গাছ পাখির আশ্রয়স্থল হয়েছে। সন্ধ্যা হলেই পাখিদের কিচির মিচির আওয়াজে মনকে প্রফুল্ল করে। বক, পানকৌড়িসহ ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আসে। তারা সেখানে রাত কাটায়। ভোরে আবার উড়ে চলে যায় খোলা প্রান্তরে, হাওর-বাঁওড়ের দিকে।
পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, এদের রক্ষায় এগিয়ে আসুন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে লোকশিল্প জাদুঘর চত্ত্বরের গাছের ডালে মাটির হাড়ি বেধে পাখিদের জন্য এমনই নিরাপদ ও ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করেছে পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটি ও বিসমিল্লাহ এন এম জুলফিকার ফাউন্ডেশন।
আজ সোমবার দুপুরে সোনারগাঁ বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এর ভিতরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছে শতাধিক মাটির হাঁড়ি স্থাপন করা হয়।
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন, বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষার দায়িত্ব সকলের। জীববৈচিত্র্য ভালো থাকলে আমাদের পরিবেশ ভালো থাকবে, আমরাও ভালো থাকবো। এই হাঁড়িগুলো বসানোর মাধ্যমে দেশীয় পাখিরা নিরাপদ আবাসস্থল পাবে। তাছাড়া শীতকালে অনেক অতিথি পাখি আসে। পাখিদের কিচিরমিচিরে সবার মন ভরে যায়।
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির ব্যতিক্রম এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন, ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুর আলম, উপপরিচালক এ কে আজাদ সরকার, মানবকল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়া, পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির মহাসচিব মীযানুর রহমান, প্রতিবন্ধী শিশু ও যুব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মহিন, বাংলাদেশ তথ্য ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মো. শামীম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির সোনারগাঁ উপজেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার পনির, পরিবেশকর্মী আল আমিন ও সিফাত প্রমুখ।