নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চৌধুরীগাঁও থেকে মনাইকান্দি যাওয়ার পথে কালভার্ট যেন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এর দুই পাশ ভেঙে গিয়ে বেহাল হয়ে পড়েছে। কালভার্ট ও সড়ক ভেঙে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ফলে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন ২০ গ্রামের সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। চলাচলের পথে আতঙ্ক বিরাজ করছে তাদের।

সরেজমিনে জানা যায়, গত দুই বছর ধরে কালভার্টটির দুই পাশের সড়ক ভেঙে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে সড়কটি সরু হয়ে গেছে। এর কারণে ব্যাটারিচালিত বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছাড়াও তিন চাকার যান ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন দুধঘাটা, মঙ্গলেরগাঁও, ছোট কোরবানপুর, বড় কোরবানপুর, মাজলাপাড়া, পাঁচানি, শহিদনগর, শান্তিনগর, নবীনগর, চর গোয়ালদি, কাজিরগাঁও, দুর্গাপ্রসাদ, চৌধুরীগাঁও ও তাতুয়াকান্দিসহ প্রায় ২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। বিশেষ করে প্রতি রবিবার ঐতিহ্যবাহী কাইকারটেক হাট থেকে মানুষ বিভিন্ন আসবাবপত্র ও মালামাল কিনে এ পথ দিয়ে বাড়ি ফিরতে অতিরিক্ত ভোগান্তিতে পড়ছেন। সোনারগাঁ সরকারি কলেজের সামনে দিয়ে বিকল্প রাস্তা থাকলেও সেই রাস্তাটিও বেহাল। অতিরিক্ত যান চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীসহ কর্মব্যস্ত মানুষের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে সময় ক্ষেপণসহ গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

মনাইকান্দি গ্রামের মোকছেদ মিয়া ডাকদূতকে বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে রাস্তাটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। সেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ বারবার দুর্ঘটনায় পড়ছে। ইতোমধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা গর্তে পড়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙে অনেকে আহত হয়েছেন।’

শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. সাবেদ আলী জানান, রাস্তাটি মেরামতের জন্য গত পাঁচ মাস আগে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় (ওয়ান পারসেন্ট) থেকে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার পর বাঁশ দিয়ে মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বর্ষাকাল, কালভার্টের নিচ দিয়ে অতিরিক্ত স্রোত প্রবাহিত হয়। এখন মেরামত করলেও স্রোতের কারণে রাস্তাটি আবার ভেঙে যাবে। বর্ষার পানি কমে গেলে কালভার্ট ভেঙে নিচ দিয়ে পানি চলাচলের জন্য পাইপ বসিয়ে আবার মেরামত করা হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চৌধুরীগাঁও থেকে মনাইকান্দি সড়কের মাঝখানে কালভার্টের কিছু অংশ ও দুই পাশের রাস্তাটি ভেঙে গেছে। সরকারি অর্থায়নে রক্ষণাবেক্ষণ কাজে এবার আমরা জরুরি মেরামতের জন্য রাস্তাটির বিষয়টি অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছি। পুরোনো কালভার্টটি ভেঙে নতুন করে একটা ব্রিজ করার জন্য সদর দপ্তরে প্রকল্প আকারে পাঠিয়েছি। আশা করছি, প্রস্তাবটির অনুমোদন পেলে কাজটি শুরু করতে পারব।’

জাতীয়

সারাদেশ

আন্তর্জাতিক

বিনোদন

খেলা

ডাকদূত – বিজ্ঞাপন – সার্কুলেশন শর্তাবলি ও নীতিমালা – গোপনীয়তা নীতি – যোগাযোগ – নিউজলেটার