কেন পিআর চান জানালেন মামুনুল হক

কেন পিআর চান জানালেন মামুনুল হক

বিদ্যমান এফপিটিপি পদ্ধতিতে নির্বাচন দুর্বৃত্তায়ন, প্রভাববলয় ও অর্থশক্তির কারণে সাধারণ মানুষের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। এ কারণেই পিআর পদ্ধতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তার দল।

এক জাতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মামুনুল হক বলেন, উচ্চকক্ষ গঠনের ক্ষেত্রে যদি পিআর পদ্ধতি না থাকে, তাহলে তা অর্থহীন হয়ে পড়বে। বরং এটি রাষ্ট্রের জন্য বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু যদি উচ্চকক্ষ পিআর পদ্ধতিতে গঠিত হয়, তাহলে প্রকৃত ভোটের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং প্রায় সব রাজনৈতিক দলের মুখ্য নেতৃত্ব অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। বর্তমানে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোট নিয়েই কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায়, এমনকি সংবিধান সংশোধন করে ফেলে। অথচ ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ মানুষের ভোটের প্রতিফলন ঘটে না। এটি গণতন্ত্রের নামে চরম প্রহসন। তাই আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই, আর নিম্নকক্ষে মিশ্র পদ্ধতির দাবি জানাচ্ছি।

ছোট দলগুলো নিজেদের স্বার্থে পিআর চাইছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বড় দলগুলো যদি সত্যিই মানুষের ভোটাধিকারকে সম্মান করত, তাহলে তারা এতে আপত্তি করত না। কারণ, যদি তারা ৫০ শতাংশ বা তার বেশি জনসমর্থন পায়, তাহলে পিআর পদ্ধতিতে তো তাদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ছোট দলগুলো স্বাভাবিকভাবেই চায় রাজনীতিতে নিজেদের জায়গা তৈরি হোক। বর্তমান পেশিশক্তি, কালো টাকা ও নির্বাচনব্যবস্থার কারণে ছোট দলগুলোর জন্য নির্বাচিত হওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই আমরা ভারসাম্যপূর্ণ একটি প্রস্তাব দিয়েছি মিশ্র পিআর পদ্ধতি-যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে।

বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনি জোট বা সমঝোতার সম্ভাবনা এখনো রয়েছে বলে জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, বিএনপির সঙ্গে অতীতে আমাদের নির্বাচনি জোট ও সমঝোতা হয়েছে। কাজেই এ ধরনের সম্ভাবনা এখনো রয়েছে। তবে আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় হলো-প্রথমত, জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হওয়া এবং দ্বিতীয়ত, উচ্চকক্ষে অন্তত সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নিশ্চয়তা। এই দুটি ইস্যু আমাদের আগামী নির্বাচনের মেরুকরণ ও জোট নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখবে।

জাতীয়

সারাদেশ

আন্তর্জাতিক

বিনোদন

খেলা

ডাকদূত – বিজ্ঞাপন – সার্কুলেশন শর্তাবলি ও নীতিমালা – গোপনীয়তা নীতি – যোগাযোগ – নিউজলেটার